করোনা বাড়ি - আখ‍্যা দিয়ে একঘরে করে রাখার অভিযোগ শ্রীরামপুরে

1st August 2020 11:18 am হুগলী
করোনা বাড়ি -  আখ‍্যা দিয়ে একঘরে করে রাখার অভিযোগ শ্রীরামপুরে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : পরিবারের ছোট বোন করোনা পজিটিভ হয়ে কোলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। হুগলীর শ্রীরামপুরের ২৫ নং ওয়ার্ডের গাঙ্গুলিবাগান বাড়িকে 'করোনা বাড়ি' আখ্যা দিয়ে পাড়ায় একঘরে করে রেখে দিয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। পাড়ার গলির মুখে দড়ি দিয়ে  বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করছে পরিবারের সদস্যরা। এমনকি বাড়ির পাশে পৌরসভার জলের কলকে প্লাস্টিক দিয়ে মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দোকান, বাজার অভিযোগ।  প্রয়োজনীয় ঔষুধ কিনতে পারছেন না। বাড়ির নিচে নিজের ভাইপোর কেবল ব্যবসা রয়েছে, তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। তার পরিবারে রয়েছে  ৮৫ বছরের বৃদ্ধা মা ও বয়স্কা তিন বোন। গত ২৮ তারিখে ছোট বোন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তনুশ্রী ভট্টাচার্য কোলকাতা ট্রপিক্যালে কাজে কর্মরত। পুরো পরিবার কে যে একঘরে করে রাখা হয়েছে তা নিয়ে জেলাশাসককে অভিযোগ জানানোর হয়। অভিযোগ পেয়ে তৎপর হয় প্রশাসন।  ২২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শান্তনু গাঙ্গুলি আসেন। পরিবারের তিন বোনের সাথে কথা বলেন। সমস্ত দেখভাল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি । বন্ধ জলের কলের মুখ থেকে প্লাস্টিক খুলে দিয়েছেন। তবে প্রতিবেশীদের দু একজনের প্রতিক্রিয়া, যাঁরা এই পরিবারের সাথে মধ্যযুগীয় বর্বরতা আচরন করেছে তা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।  শ্রীরামপুর মহকুমা শাসক সম্রাট চক্রবর্তী আসেন পরিবারের বাড়িতে। তিনি ত্রাণ সামগ্রী ও পালস্ অক্সিমিটার দেন পরিবারের তিন দিদির হাতে। চেনা মানুষদের অচেনা ব্যবহার এমনটাই বলছে পরিবার।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।